প্রযুক্তির যুগে ইন্টারনেটের সহজলভ্যতায় পৃথিবী এখন হাতে মুঠোয়।সারা বিশ্বে পর্ন দর্শক বেড়েছে। অনেকে আবার পর্ন দেখাটাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যান, যা নেশায়-আসক্তিতে পরিণত হয়। কিন্তু পর্ন দেখা যদি আসক্তিতে পরিনত হয়। এর ফলে আপনার আচারনগত পরিবর্তন হতে পারে।
যুক্তরাজ্যের খ্যাতনামা কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোসাইকাট্রিস্ট ভ্যালেরি ভুন পর্ন দেখায় দর্শকের মধ্যে পরিবর্তনগুলো পর্যবেক্ষণ করে একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। ওই প্রতিবেদনে বলা হয় পর্ন দেখলে প্রথমেই তার প্রভাব পড়ে দর্শকের মস্তিষ্কে। অতিরিক্ত পর্ন দেখা আসক্তির পর্যায়ে চলে যায়, যা মাদকাসক্তির চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।
নিয়মিত ও অতিমাত্রায় পর্ন দেখলে ধীরে ধীরে আপনার একাধিক অভ্যাস পরিবর্তন করে দিতে পারে। একটা সময় হ্যালুসিনেশনের মাত্রা বেড়ে যায় এতে মস্তিষ্কের গ্রহণ ক্ষমতা কমে যেতে পারে।এছাড়া সঙ্গীর সঙ্গে দূরত্ব, স্মৃতিশক্তির সমস্যাসহ বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ক্ষতি হতে পারে।
পর্ন দেখার কারণে আপনার শরীরে কী পরিবর্তন ঘটে, জানেন কি? আসুন জেনে নেই পর্ন দেখলে যেসব শারীরিক ক্ষতি হয়?
মস্তিষ্ক গ্রহণ ক্ষমতা
পর্ন দেখলে প্রথমেই তার প্রভাব পড়ে দর্শকের মস্তিষ্কে। অতিরিক্ত পর্ন দেখা আসক্তির পর্যায়ে চলে যায়, যা মাদকাসক্তির চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।নিয়মিত ও অতিমাত্রায় পর্ন দেখলে ধীরে ধীরে আপনার একাধিক অভ্যাস পরিবর্তন করে দিতে পারে। একটা সময় হ্যালুসিনেশনের মাত্রা বেড়ে যায় এতে মস্তিষ্কের গ্রহণ ক্ষমতা কমে যেতে পারে।
শরীর ও মন
নিয়মিত পর্ন দেখার কারণে একটা নির্ভরশীলতা তৈরি করে। ফলে শারীরিক চাহিদা তৈরি হলেও কোনো একটা নির্দিষ্ট সময়ে আপনার শরীর উত্তেজিত হতে চাইবে। এটা আপনার মধ্যে এমন একটা অভ্যাস তৈরি করবে, যার ফলে শরীর ও মনকে সহজে বশে রাখতে পারবেন না।
স্মৃতিশক্তি
পর্ন দেখার প্রবণতা আপনার স্মৃতিশক্তির ওপর খুবই নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ফলে অনেক কিছুই আপনি খুব সহজেই ভুলে যেতে শুরু করবেন।
সঙ্গীর সঙ্গে দূরত্ব
পর্নে অনেক কিছুই অতিরিক্ত দেখানো হয়, বাস্তবতার সঙ্গে যার মিল নেই। অতিরিক্ত পর্ন দেখলে আপনিও আপনার সঙ্গীকে অন্যভাবে কল্পনা করতে শুরু করবেন। সে ক্ষেত্রে আপনার সঙ্গীর সঙ্গে আপনার দূরত্ব তৈরি হবে।